Friday, September 26, 2014

কাস্তেবাঁক

দাঁড়াই এসে সাঁকোর উপর
নদী যেখানে অনেকটাই ক্ষীণ
কাস্তেবাঁকে্র ্দৃশ্য দেখি
মনকে সবুজ রাখার ঐকান্তিক প্রয়াস

দূরের আবহ কুয়াশায় ঝাপসা
এখান থেকে বোঝা যাচ্ছে না
দিগন্ত ছুঁয়েছে কিনা আকাশ
স্বপ্ন তো সবাই দেখে


পরের খবরটা করে দিল সব ওলটপালট
কাস্তেবাঁকেই মিলেছে নিরুদ্দেশ কিশোরীর দেহ
বিকৃত চোখমুখ

সেও কি স্বপ্ন দেখেছিল

ছিঁড়ে গেল স্বপ্নজাল
কেমন করে মনকে সুস্থ রাখি বলো

বনলেখা


প্রাত্যহিক জীবন থেকে দূরে
সেই রঙ
হালকা নয় ঘন

.....সবুজ

ঐ মিষ্টি মেয়েটির মত
লজ্জানত নয়
সে আরও স্নিগ্ধ আরও কোমল

নাগরিক দৃশ্যকল্পে
ধূসর ক্যানভাসে এক শ্যামলিমা
হয়ত বা
ইতিহাসের পাতা থেকে উঠে-আসা
এক নিঁখুত ভাস্কর্য

অদৃশ্য এক শিলপীর হাতে
সবজে পাতে
নীল সাদা লাল
মীনে করা কত নকশা

ওখানেই ছেড়ে এসেছি
আমার দু একটা ইচ্ছে
খুচরো কিছু চাওয়া পাওয়া

ফিরে পাওয়ার ইপ্সা নেই
মনের মোড়কে
আদুরে মসলিনের মত তুলে রাখা

এক অধ্যায় বনলেখা


শীত এলে


শীত এলে মেলার গন্ধে ভাসে পৌষালি
মনে শান্তিনিকেতনি ছন্দ
খোয়াইদের নদীতে ঢেউ তোলে বালখিল্যদের ডিঙ্গি
কোপাই হয়ে অঠে পূর্ণযৌবনা
স্বপ্নের চারণভূমিতে ছুটে বেড়ায় সোনার হরিণ

বাউলের সন্ধ্যা
আর জোসনারাতে কাঁসির ঝংকার
সাঁওতালি মনে বাজায় মাদল নুপুর
কলাভবনের চত্বরে কৃষ্ণকলিদের বাঁকাচাউনি
ভিনদেশী বুকে তোলে ঝড়

পোড়ামাটির মালা কিনতে গিয়ে কে দেখে
ছাতিমের বিস্তার
হারিয়ে ফেলে মাটিরঙের দোপাট্টা
হৃৎপিন্ডে টগবগিয়ে বেড়ায়
পাঁচমুড়ার ঘোড়া

ঝরঝর বরিষণে



এই ঝরঝর বরিষণে
মন ভেজে অকারণে
ভেজে শিরিষের পাতা
চেনা হিসাবের খাতা
যত সব কাটাকুটি
গোঁজামিল গরমিল জীবনের নকশায়
আয় হিসাবের খাতা ফেলে
চাওয়া পাওয়া সব ভুলে
চল কুলির জলেতে ভাসাই
ছেঁড়া কাগজের নায়

চল সবে যাই ফিরে
শৈশবের খেলাঘরে
ব্যাঙেদের ডাক শুনে ভূতনীর মাঠে
ছিপহাতে চুপিচুপি পুকুরের ঘাটে
ঝোপেঝাড়ে বাঁশবনে সারসার খালে
ঘোষেদের বাগানে মন্দির চাতালে
বাবুইয়ের বাসা খুঁজে শালিকের ছানা
কত কি যে খাই তুলে
নাম নেই জানা
ফলসা পাড়তে সেই বুনো কুলতলি
কাদাজল ছিটিয়ে কত অলিগলি
দলবেঁধে দুপুরে দিঘিটির ধারে
এপার ওপার করি ডুব চিত সাঁতারে
দাদুর বকুনি আর ঠামার আদর
মুচকি হেসে মায়ের মৃদু চড় চাপড়

কোথায় সাথীরা আজ কোথা শৈশব
কত কি যে আছে সাথে নেই সেইসব