Monday, June 20, 2011

বিস্ত্রৃত অপেক্ষার ছায়া

ছাইরঙা বিকেলটা ঝুপ করে ফাঁকামাঠে নেমে এলেই

শীতবেলার অবসান

কুয়াশায় মুখ ঢেকে হিমজোসনা খুঁজে বেড়ায়

নীলশামুকের দিন

বিস্তৃত অপেক্ষার ছায়া ফেলে যায়

অপূর্ণ স্বপ্নচর


শ্রাবনে ঋতুমতী হয়নি যে নদী

জমে ওঠে তারই বাঁকাদহের কাহিনী

পাতার আগুন ঘিরে হারানো ইতিকথা


নদীনাম তার মুছে গেছে বহুদিন

রয়ে গেছে বালিচর

ছড়ানো ছিটানো কয়েকটা বাবলার জন্মভূমি

তবুও বিকেলের নিভু নিভু রোদ ওখানেই ছাইরঙ হয়

অপূর্ব স্বপ্নের মায়ায়


কিসের মায়াজাল জানেনা সে নদী

শুধু সমুদ্রসন্ধানে মুঠো মুঠো বালি

বুকে ধরে রাখে

Friday, June 17, 2011

অপেক্ষমান

ঠা ঠা দুপুরে একপায়ে দাঁড়িয়ে অপেক্ষমান রোদ্দুর

বাতাসে ভাসে--

তুলোয় জড়ানো ফাটা শিমূলের বীজ

উপেক্ষিত আশা খুঁজে বেড়ায়

সূচনার ভূমিকা

নৈশব্দের ধারাপাতে স্তব্ধ যখন শব্দের অরণ্য

শতাব্দীর নিভৃত বাসনা

নীলখামের আগল খুলে

ছড়িয়ে পড়ে ইতস্ততঃ

বিস্মৃত ইতিহাসের পথ ধরে ফিরে আসে

জংগলের অতীত

জুম চাষে মত্ত হ্য় যাযাবর জীবন

তথাপি সেই বটের মূল পাখির পায়ের ছাপ

ধরে রাখে অপেক্ষার অধ্যায়

এখনও যেখানে একলা দুপুর ঠা ঠা রোদ্দুর

শিমূলবীজের জন্মান্তর

নাবিক


কত নক্ষত্রযুগ পার হয়ে এসে এখনও তুমি জানলে না

তোমাকে ভালবাসাটা নেহাতই একটা ভান

আমি তৃপ্ত নই এক সমুদ্রে

তাই ভারত-প্রশান্ত-অতলান্তিকে আমার নিত্য আনাগোনা


প্রতিটি শুক্লপক্ষের সন্ধ্যায়

আমি ফালা ফালা করে কাটি

এক একটি কিশোরী চাঁদ

স্খলিত পায়ে বাথরুমের দরজায় আগল দিয়ে

অট্টহাসিতে মেতে উঠি


চাঁদহীন রাতকে আমার ফ্যাকাসে মনে হয়

তবুও চাঁদের উপমা খুঁজি না

তারাদের ঘৃণা করি


নগন্য এক বন্দরের নাবিক

জোনাকির আলোতেই ডুবে থাকি

তুমি ধ্রুবতারা হতে চেও না